এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে ও এইচএসসি প্রথম বর্ষের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করছিলেন বরপক্ষ ও মেয়েপক্ষের লোকজন। হঠাৎ করেই সেই আসরে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
পরে আদালত বসিয়ে ছেলের বাবাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৬ মে) বিকেলে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মনুরছড়া গ্রামে।
জানা যায়, মনুরছড়া গ্রামের এক ১৬ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলের সঙ্গে অনন্তরাম গ্রামের ১৬ বছর বয়সী এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি গোপন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হক সুমনের কাছে পৌঁছালে, তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের বাবাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে মেয়ের বাবা জরিমানার টাকা প্রদান করলে মেয়েটিকে তার বাবার হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়।
পীরগাছা থানার এসআই নূর আলম জানান, অভিযুক্ত ছেলের পিতাকে রংপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিম মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে তার বাবার জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, গত প্রায় ২০ দিন ধরে মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। ছেলে ও মেয়ে দুইজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে এবং দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন