গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আবারও হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে।
এ ঘটনায় এনসিপি নেতাদের গোপালগঞ্জ থেকে উদ্ধার করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঘটনার পরপরই রাশেদ খাঁন তার ফেসবুক আইডির এক পোস্টে সেনাবাহিনীকে এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন লেখেন, ‘প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে জুলাই যোদ্ধাদের উদ্ধার করুন। কোনোক্রমেই যেন অঘটন না ঘটে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা হোক। গোপালগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া যাবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া সড়ক, গোপালগঞ্জ টেকেরহাট সড়ক ও টুঙ্গিপাড়ায় এপিসি মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এনসিপির মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে মার্চ টু গোপালগঞ্জ।
মন্তব্য করুন