দীর্ঘদিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে থাকা লেস্টারসিটি এবার নতুন দিশা খুঁজছে। টানা বাজে পারফরম্যান্সে আবারও ছিটকে পড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে। সামনে বড় চ্যালেঞ্জ—চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার প্রিমিয়ার লিগে ফেরা। এই পথচলাকে আরও শক্তপোক্ত করতে নতুন কোচ নিয়ে এসেছে ক্লাবটি। স্প্যানিশ কোচ মার্তি সিফুয়েন্তেস এখন থেকে ডাগআউটে নেতৃত্ব দেবেন হামজা চৌধুরীদের।
সাবেক কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স কোচ মার্তি সিফুয়েন্তেসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে লেস্টার। রুদ ফন নিস্টলরয়ের বিদায়ের পর তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড। লেস্টারের চেয়ারম্যান আয়াওয়াত শ্রীভাদ্ধানাপ্রভা জানিয়েছেন, ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আধুনিক দর্শন ও স্থিতিশীল নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখছেন তারা।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—গত দুই বছরে ছয়জন কোচ বদলের পর সিফুয়েন্তেস কতটা সময় ও স্থিতি পাবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে।
নতুন কোচ এলেও অনেক খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ এখনো ধোঁয়াশায়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী গত মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে ধারে খেলেছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে। সেখানে ১৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে নজর কেড়েছিলেন। ধারের মেয়াদ শেষে তিনি ২৯ জুন ফিরে এসেছেন লেস্টারে, কিন্তু ক্লাবে তার স্থায়ী ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে।
এমন সময় শোনা যাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস হামজাকে দলে নিতে আগ্রহী। ফলে নতুন কোচের অধীনে লেস্টারের ‘পুনরুত্থান’ মিশনে হামজাকে দেখা যাবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
ইতোমধ্যে একবার প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাওয়া, আবার ফিরে এসে আবারও অবনমন—দুই বছরের মধ্যে দুবার ধাক্কা খাওয়ার পর লেস্টারের সামনে কঠিন বাস্তবতা। স্কোয়াডে অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার থাকলেও দলের ভারসাম্য, স্থিতি আর নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
সিফুয়েন্তেস যদি তার কৌশল ও স্থির নেতৃত্বে দলকে গোছাতে পারেন, তাহলে হয়তো আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফেরা সম্ভব হবে। আর সেই অভিযানে হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়দের ভূমিকা হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—যদি তিনি থাকেন।
নতুন কোচ পেলেন হামজারা। এখন দেখা যাক, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পে তারা কতটা ভূমিকা রাখতে পারেন।
মন্তব্য করুন