কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত শতাধিক বাড়িঘর। ছবি : কালবেলা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত শতাধিক বাড়িঘর। ছবি : কালবেলা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত চার দিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত থেকে দ্বীপজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত শতাধিক বাড়িঘর।

সেন্টমার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ী আবদুল মালেক জানান, দ্বীপের চারপাশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া ও দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় ঢুকে পড়েছে সাগরের পানি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দ্বীপে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এতে দ্বীপের তিনটি বড় পাড়া পানির নিচে। শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বীপে অবস্থানরত বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় সাগরের ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে আবারও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায় দ্বীপে। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা চার দিন বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌচলাচল। এতে দ্বীপে দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আতঙ্কের কিছু নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তাহলে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এখনো সে ধরনের অবস্থা হয়নি।

ইউএনও বলেন, টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চার দিন ধরে সেন্টমার্টিনে কোনো পণ্যবাহী ট্রলার যেতে পারেনি। ফলে দ্বীপে ধীরে ধীরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই দ্রুত পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

জিয়াউর রহমানের সমাধীতে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ শ্রদ্ধা 

মাদকদ্রব্য বিক্রিতে বাধা, কালবেলার সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রযুক্তির স্থানান্তরে গবেষক-কৃষকদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি : খুবি উপাচার্য

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন / ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকাকালে নিয়মিত মাদক নিতেন ইলন মাস্ক

পাকিস্তানে জেলা প্রশাসককে খুন করল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা

শেষ টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে গেলেন শরীফুল

ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে

সারা দেশে অতি ভারি বৃষ্টির আভাস

কমল জ্বালানি তেলের দাম 

১০

শিল্পীদের হঠাৎ গ্রেপ্তার ও মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ আবুল হায়াত

১১

ঐক্য নেই বরিশাল বিএনপিতে : সরোয়ার

১২

আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ

১৩

ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে ৪ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রামে 

১৪

অপসংস্কৃতি বিবেকের দরজায় তালা লাগায় : কাদের গনি চৌধুরী 

১৫

ফারুকের অপসারণে মুখ খুললেন হাথুরুসিংহে

১৬

আসলে আমরা মানুষ চিনতে ভুল করেছি : গয়েশ্বর

১৭

বেকারত্ব কমাতে ফিরতে হবে শহীদ জিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে : চসিক মেয়র

১৮

রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে যৌক্তিক রোডম্যাপ খুঁজুন : স্বপন 

১৯

যেসব দেশে কর্মী পাঠানো হবে, জানালেন আসিফ নজরুল

২০
X