জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিবিরের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে নগরীর হনুমানতলায় পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় মহানগর শিবিরের প্রচার সম্পাদক আতিকুজ্জান আতিকসহ ৫ নেতাকর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে হেল্প ডেস্কে থাকা পরীক্ষার্থীদের জমা দেওয়া ব্যাগ, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিবির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিবির নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে একটি হেল্প ডেস্ক বসান তারা। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের মোবাইল, মানিব্যাগ ও ব্যাগ জমা রাখছিলেন। পাশেই চিড়িয়াখানার মোটরসাইকেল গ্যারেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাগ রাখতে টাকা নিচ্ছিলেন সেখানকার কর্মীরা।
কিছুক্ষণ পরে গ্যারেজ থেকে ৩-৪ জন কর্মী এসে হেল্প ডেস্কে থাকা দুজন শিবির নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায়। এ সময় হেল্প ডেস্কে জমা রাখা ২০ পরীক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক আতিকুজ্জামান আতিক এলে তাকে ঘিরে ধরে ফের ৫ নেতাকর্মীকে পেটান।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং হামলায় অভিযুক্ত চিড়িয়াখানার কাউন্টার থেকে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। পরে তারা ৯৯৯-এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
হামলার শিকার ছাত্রশিবিরের স্কুল বিভাগের সাথী মিল্লাত হোসেন কালবেলাকে বলেন, ১০-১২ সন্ত্রাসী আমাদের মারছিল। মেহেদী নামের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।
মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে করা শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন