ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলছে। কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে জিয়াউর, তার স্ত্রী, ভাই ও ভগ্নিপতির নামে খোলা মোট ২৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসব হিসাবে অস্বাভাবিক পরিমাণ নগদ জমা, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তর এবং প্রায় ৪ দশমিক ৮৬ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) রয়েছে। হিসাবগুলো পরিকল্পিতভাবে আত্মীয়দের নামে খোলা হয়েছিল বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সবচেয়ে বেশি হিসাব রয়েছে জিয়াউর রহমানের নিজের নামে- ১৯টি। স্ত্রী নাইচ পারভীনের নামে ২টি, ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান ও ফিরোজ মোল্লার নামে একটি করে এবং ভগ্নিপতি আয়ুব আলী খানের নামে রয়েছে আরেকটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান বলেন, দুদক অভিযোগ করেছে, দুদকের সঙ্গেই বুঝব। যা কিছু করবে করুক। আপনার কিছু লেখার থাকলে লেখেন। আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু বলব না।
ফরিদপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, এটা তার (জিয়াউরের) ব্যক্তিগত বিষয়। আমি জানি না আসলে কী হয়েছে। অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
মন্তব্য করুন