যশোরে নারী চিকিৎসকের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় মো. বেনজির হোসেন (৪১) নামে এক ভুয়া মেজরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
মঙ্গলবার (৩ জুন) যশোর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগী একজন নারী চিকিৎসক, যিনি নিয়মিত তার চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসা দেন। এর অংশ হিসেবে মো. বেনজির হোসেন তার চেম্বারে চিকিৎসার জন্য আসেন। তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর এবং ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেন। পরে তিনি ওই চিকিৎসককে প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে বেনজির ওই চিকিৎসককে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে অন্তরঙ্গ হন এবং গোপনে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তিনি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এ ছাড়া, বেনজির বিদেশে তার যোগাযোগের কথা বলে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট পঞ্চাশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া এবং টাকা ফেরত চাওয়ার পর তিনি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। পরে চিকিৎসক জানতে পারেন, বেনজির কোনো মেজর নন, বরং তিনি একজন প্রতারক। এরপর তিনি বেনজিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি চিকিৎসকের শিশু সন্তানকে গুম করার এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
পুলিশ জানায়, মামলা দায়েরের পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মঙ্গলবার ভোরে নড়াইল সদর থানার মির্জাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেনজিরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ আরও জানায়, বেনজিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পর্নোগ্রাফিসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং তিনি একজন পেশাদার প্রতারক।
মন্তব্য করুন