চাকরির ৫ মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক নার্স। হাসপাতালের মালিক তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২ জুন) জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভায় অবস্থিত হাজরাবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।
মারধরের শিকার নার্স উপজেলার দেওলাবাড়ি বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা। এ বিষয়ে মেলান্দহ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ২ বছর ধরে হাসপাতালটিতে নার্স হিসেবে কর্মরত। বিগত দিনগুলোতে ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করলেও গত পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন দিতে মালিকপক্ষ টালবাহানা করছে। বকেয়া বেতন চাইতে গেলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মো. সবুজ (৩৫) ও মো. রফিক (৪৫) এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে লাঞ্ছিত করেন তাকে।
জানা গেছে, হাসপাতালের মালিক মো. রাকিব হোসেন উপজেলার ৬নং আদ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিয়মিত হাসপাতালে না আসায় তার সঙ্গে নতুন মালিক হিসেবে পার্টনারশিপে হাসপাতাল পরিচালনা করেন সবুজ এবং গুজামানিকা গ্রামের মো. রফিক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সবুজ বলেন, বকেয়া বেতন পাবে এটা সত্যি, তবে পাঁচ মাসের না। তাছাড়া কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা বুঝিয়ে বলেছি, এখন হাসপাতালের অবস্থা ভালো না। আগে হাসপাতাল বাঁচুক তারপর স্টাফদের বেতন হবে।
অপর অভিযুক্ত রফিকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্তে আমরা প্রাথমিকভাবে মারধরের ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। শিগগিরই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন