পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে আগুন দিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ মে দিবাগত রাতে উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মধ্য ফুলঝুড়ি গ্রামের নজরুল ইসলাম খাঁনের বাড়িতে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম খাঁন মধ্য ফুলঝুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল কালাম খাঁনের ছেলে।
জানা গেছে, নজরুল ইসলাম খাঁনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম একই এলাকার বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে মিজান হোসেন হাওলাদার, আমির হোসেন মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা, রহমান হাওলাদারের ছেলে ছগির হোসেন হাওলাদার, মৃত রুস্তম হাওলাদারের দুই ছেলে জাকির হাওলাদার ও রিয়াদুল হাওলাদার, মৃত রহমান হাওলাদারের ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার, মৃত আমজেদ হাওলাদারের ছেলে খলিল হাওলাদার ও আলাউদ্দিনসহ ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম খাঁন স্থানীয় একটি বাজারে মিষ্টি বিতরণ করেন। সেই সময়ে বিবাদীরা নজরুল ইসলাম খাঁনকে মেরে গুরুতর আহত করেন। পরে ২ নম্বর বিবাদীকে কে বা কারা মারধর করে। সেই সূত্র ধরে ঘটনার রাতে নজরুল ইসলাম খাঁনের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে নজরুল ইসলাম খাঁন দৌড়ে পালিয়ে গেলে তারা তার বসতঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। এমনকি ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম খাঁনের একটি মাছের ঘের রয়েছে এবং সেখানে থাকা টঙ ঘরটিও আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বায়েজিদুল ইসলাম বাদল বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। নজরুল ইসলাম খাঁনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
বিবাদী কবির মোল্লা কালবেলাকে বলেন, পূর্বে একটি মারামারি মামলা চলমান রয়েছে। তাই আমাদের ফাঁসানোর জন্য তারা নিজেরাই ঘরে আগুন দিয়েছে। আমরা এত খারাপ মানুষ না মানুষের বসতঘরে আগুন দেব। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তাদের বাড়ি। এতদূর থেকে গিয়ে আমরা ঘরে আগুন দিলে অবশ্যই কেউ না কেউ দেখতো। আমাদের হয়রানি করার জন্য এখন তারা এসব করে বেড়াচ্ছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাদীকে আমরা আসতে বলেছি, তদন্ত চলমান রয়েছে এবং সঠিক অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) আবদুল কাইয়ূম কালবেলাকে বলেন, আগুন দিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন