খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বাগানবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিনের কোরবানির জন্য কেনা একটি মহিষ অসাবধানতাবশত ছুটে যায়। শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন সকালে মহিষটি ছুটে ফেনী নদী অতিক্রম করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়।
কোরবানির গরু ভারতে চলে যাওয়ার বিষয়টি বিজিবি জানতে পেরে বিওপি কমান্ডার সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলামকে জানান। তিনি ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১১৪ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিষটি ফেরত আনার উদ্যোগ নেন।
বিএসএফ মহিষটি উদ্ধারে তাৎক্ষণিকভাবে তল্লাশি শুরু করলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রোববার (৮ জুন) বেলা ১১টায় বিএসএফ সদস্যরা পুনরায় মহিষটি ধরার চেষ্টা করলে এটি আবার ফেনী নদী পার হয়ে সীমান্ত পিলার ২২১৩/এমপির নিকট দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে বিজিবি ও স্থানীয়দের সহায়তায় মহিষটিকে আটক করা হয়। আনুমানিক দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে কোরবানির মহিষটি প্রকৃত মালিক মো. নাজিম উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে এটি কোরবানির দেন তিনি।
মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, বিজিবির সহানুভূতিশীলতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা শুধু আমাদের কোরবানির পশুটি ফিরে পাইনি, বরং আমাদের ঈদের আনন্দও ফিরে পেয়েছি। এটি শুধু একটি পশু ফেরত আনার ঘটনা নয়, বরং এটি বিজিবির পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সীমান্তবাসীর পাশে থাকার এক অনন্য উদাহরণ।
রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম বলেন, কোরবানি মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি যখন এমন একটি দুর্ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত মানবিকভাবে পাশে দাঁড়ানো। আমরা বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করে মহিষটি ফেরত আনার উদ্যোগ নেই এবং সেটি সফল হয়েছে।
মন্তব্য করুন