জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাওলানা নিজামীসহ জামায়াতের সব নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত কী কমেছে নাকি বেড়েছে? জামায়াত এখন ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, খুনিদের কোনো ক্ষমা নাই। হত্যায় জড়িত কারও কোনো ক্ষমা নাই। জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হয়েছে। শুধু হাসিনার বিচার করলে হবে না। যারা হত্যায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার (০৯ জুন) দুপুরে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আগামীতে কাউকে ভোটকেন্দ্র দখল করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করলে দেশের জনগণ তাদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিবে। ফ্যাসিবাদ কায়েমের ভয় দেখালে তাদের পরিণতি একই হবে। যেনতেন নির্বাচন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। জনগণ বারবার ষড়যন্ত্র, জুলুম ও ধোঁকাবাজের মধ্যে ছিল। অনেকেই মনে করছেন আমাদের প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতা ছাড়া দেশ চালাতে পারবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি না। দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল রক্ত দিয়ে সেটা শেষ করেছে। ফ্যাসিবাদের নায়িকা হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশের গণতন্ত্র গলা টিপে হত্যা করেছে।
জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। অনেকের দুই মাস নির্বাচন দেরি করা সহ্য হচ্ছে না। তারাতো ১৬ বছরে কিছুই করতে পারেনি। তারা কোনো ঈদও শেষ করতে পারেনি। এই দেশ কারও বাপের নয়, আবার কারও পরিবারেরও নয়। কেউ চক্ষু রাঙিয়ে দাও কথা বলবেন না।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, দেশের উপর আর কোন দাদাগিরি ও আধিপত্যবাদ চলবে না। দেশকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছেন ওদের রুখে দেবে ১৮ কোটি জনতা। দেশের মানুষ আগামীতে চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রায় দেবে।
আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. নকিবুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আলিম মাসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, কেন্দ্রীয় মানব সস্পদ বিভাগের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল আইনুল, আটঘরিয়া পৌর সভার মেয়র পদপ্রার্থী সাইদুল ইসলাম মোল্লা, পাবনা জেলা শিবিরের সভাপতি ইসরাইল হোসেন শান্ত, আটঘরিয়া উপজেলা কার্যকরী সদস্য আমিরুল ইসলামসহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন