কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক

কক্সবাজারে আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। ছবি : কালবেলা
কক্সবাজারে আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। ছবি : কালবেলা

ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। চমৎকার পরিবেশ ও আবহাওয়াকে সঙ্গে করে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। খুশির মাঝে আবার মন খারাপের খবরও আছে। অসাবধানতাবশত সাগরে ডুবে বাবা-ছেলেসহ চার পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) কক্সবাজারের লাবনি, সুগন্ধা, কলাতলি পয়েন্ট, হিমছড়ি ঝর্ণা স্পট, বিউটি স্পট ইনানী ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত এসব জায়গা। তবে সুগন্ধা, লাবনী ও কলাতলি পয়েন্টে লাইফগার্ড কর্মীদের লাল পতাকা উত্তোলন ও সতর্কতা মাইকিংয়ের প্রাণপণ চেষ্টাও আনন্দে আত্মহারা পর্যটকদের দমাতে পারছে না। সতর্কতা সংকেত বেমালুম উপেক্ষা করে সাঁতার না জানা অনেকেই উত্তাল সাগরে নেমে পড়ছেন। বৃষ্টিহীন কক্সবাজারে আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক।

কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা নবদম্পতি মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, সকাল থেকেই বিচে আছি ভালোই লাগছে। অনেক মানুষ, ছবি তুলতে, স্বাভাবিক পথ চলতে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। হোটেলের পরিবেশ খাবার-দাবার সবকিছু পজিটিভ।

ঢাকা সেনানিবাস এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা তারেক রহমান বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে এসেছি। আমরা ভাগ্যবান ওয়েদার অনেক ভালো। তবে সৈকতে ভাড়ায় খাটা এক ঘোড় সরওয়ারের আচরণ বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে।

বরিশাল থেকে আসা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, দুদিন আবহাওয়া ভালো যায়নি, ঘোমট ভাব কেটে আজ চমৎকার পরিবেশ। কক্সবাজার হোটেল, খাবার মান সবই ভালো। ছেলেকে নিয়ে সাগর-সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছি।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আওলাদ হোসেন কেনেডি বলেন, ঈদের আগেই কক্সবাজারের অধিকাংশ আবাসিক হোটেল শতকরা ৬০ ভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন কক্সবাজারে শতভাগের কাছাকাছি রুম বুকিং চলছে। আগন্তুক পর্যটকের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

সৈকতের সিনিয়র লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ জহির বলেন, সমুদ্রে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসতর্কতা। বিপদ সম্পর্কে না জেনে সাগরে নামলে বিপদ আসবেই। সাঁতার না জানলে কিংবা গর্তে পড়লে পানির স্রোতে যে কোনো সময় বিপদ আসতে পারে। এক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্তানন্দ দাশ কালবেলাকে বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন, বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও যৌথভাবে পর্যটকদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করছি, মাইকিং করছি। আশা করছি পর্যটকরা বিপদ সম্পর্কে না জেনে সাগরে নামবেন না। এ ছাড়া কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে আরও এস-৪০০ সরবরাহ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী আর নেই

১০ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকৃত মোবাইল উদ্ধার করল পুলিশ

২০ হাজার নিমগাছ রোপণের উদ্যোগ ঘোষণা আমিনুল হকের

শুভ জন্মদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সকল ইসলামি শক্তির মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে : গোলাম পরওয়ার

মিরপুরে ভাড়াটিয়ার ওপর বাড়িওয়ালার হামলা

‘তারেক রহমান আওয়ামী ফ্যসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সফল রূপকার’

বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা 

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল

১০

গুলি করে ত্রাণকেন্দ্রের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েলি সেনারা

১১

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর বার্তা এনবিআরের 

১২

ভাঙা হয়েছে বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’

১৩

মধ্যরাতে ছাত্রীর প্রবেশপত্র পৌঁছে দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন শিক্ষক

১৪

আন্দোলনে অচল এনবিআর, বন্ধ হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি

১৫

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নিয়ে আপত্তি, পুনর্বিবেচনা করছে সরকার

১৬

ইরানে হামলায় ইসরায়েলকে রুখল না সিরিয়া, কেন এই নীরবতা

১৭

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে বিমান

১৮

জন্মদিনে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি পাবেন ইয়ামাল

১৯

দেড়শ বছরের পুরোনো পিতলের রথযাত্রা উদযাপিত

২০
X