ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার যেসব শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্ট ও পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ হলরুমে এসব মেধাবী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান, উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিজানুর রহমান মাস্টার, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রজব আলী, রুয়েটের মেকানিকাল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক, সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ড. মো. আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, এখন টিভির শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক ফরহাদ বিন নূর, পৌর বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক শাহাজাহান আলী, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন পাবলিক, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রায় ৮৮ জন মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশাররফ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম আসহাব আসিফ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেরাজ হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র মো. শাহরিয়ার রাসেল, মো. সুবহান আলী হৃদয় ও কুয়েটের মিনহাজুল হামিদ মাহি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিশিষ্টজনরা প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি সুখী সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। সেজন্য প্রথম বর্ষ থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। জীবনে চলার পথে নানারকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। তবে কৌশল ও ধৈর্যের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে নিজ এলাকার পরিচিতি সুনামের সঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশে তুলে ধরতে হবে।
মন্তব্য করুন