পাবনার ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডের একটি কোচিং সেন্টারে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নাহিয়ান ইসলাম নাহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঈশ্বরদী থানায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলাম নাহিদসহ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২৯ আগস্ট বিকেলে এমবিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম তার মা ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন। ধর্ষণের এজাহার পাওয়ার পর গভীর রাতে কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পূর্বটেংরী ঈদগাহ রোডের শাহনেওয়াজ ইসলাম হিরোজের ছেলে। অভিযুক্ত অজ্ঞাত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার ছেলেকে পড়ানোর জন্য নাহিয়ান ইসলাম নাহিদের কাছে শিক্ষক খুঁজে দেওয়ার জন্য বলেন। ২৯ আগস্ট বিকেলে নাহিদ মোবাইল ফোনে ছেলেকে পড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে কোচিং সেন্টারে আসার জন্য বলে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভিকটিম কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখেন আরও দুজন অপরিচিত ব্যক্তি বসে আছে। ভিকটিম কক্ষে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে অভিযুক্তরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বের করে দেয়। বাড়ি ফিরে মা ও স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন তিনি। এ বিষয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপের কারণে এজাহার দাখিলে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোচিং সেন্টারের নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন