লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, মবোক্রেসির মাধ্যমে বাংলাদেশের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা হতে দেওয়া যাবে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে মব সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে মারধর ও হেনস্তা করা হচ্ছে, পাশাপাশি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। সেনাপ্রধান মবোক্রেসি বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কোথাও মবোক্রেসি তৈরি হলে স্থানীয় সেনাক্যাম্পের সহযোগিতা নিয়ে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা এবং দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে, যদি তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আইনের পরিপন্থি হয়, অতিরিক্ত অত্যাচার, অবিচারের সঙ্গে কারও কোনো সম্পৃক্ততা থেকে থাকে, আইনি ব্যবস্থায় তাদের বিচার হবে। কিন্তু সবাই এক সঙ্গে দল বেঁধে কাউকে মারধর করবে বা হত্যা করবে এটা কোনো দেশের আইন নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। সে সময় আমাদের বিরুদ্ধে যারা অস্ত্রহাতে লড়াই করেছে আমরা তাদের বাড়ি-ঘর ভাঙিনি, তাদের উপর হাত তুলিনি। তাদের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টি করে আমরা অত্যাচার চালাইনি। একটি স্বাধীন দেশে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এভাবে মব সৃষ্টি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরিরী করতে না পারে তোমরা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ মামুন পারভেজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আবদুছ ছালাম, শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ অধ্যক্ষ আবু তাহের, মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ ভূইয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক শ্রীধর বণিক, এইচএসসি পরীক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌদিয়া পারভিন, মানপত্র পাঠ করেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া জেরিন অন্তরা।
মন্তব্য করুন