সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় তারিকুল ইসলাম ওরফে তারেক (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিানশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এ মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন দেওয়া ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এসব রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার মো. আব্দুস সামাদের ছেলে।
যাবজ্জীবনের আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই মহল্লার মৃত কাশেম ওরফে কাসুর দুই ছেলে মো. সেলিম (৪২) ও বাদল (৩৯), আব্দুল কুদ্দুস ওরফে চিকুর ছেলে নজরুল ও সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম খান (৪৩)।
ওই আদালতের পেশকার মো. আব্দুল মমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর সকালে রানীগ্রাম মহল্লার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ওরফে ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হন। পরে তিনি রানীগ্রাম পশ্চিমপাড়া বাজারের একটি চা স্টলে বসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, ছোড়া, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে। এ সময় তারিকুল ইসলাম তারেক তার হাতের রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। অন্য আসামিরাও তাকে উপুর্যপুরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় গোলাম মোস্তফাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোস্তফার স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন