ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালটি গ্রামের নামাপাড়া এলাকার এক পরিত্যক্ত ডোবা থেকে নিখোঁজের একদিন পর দুই শিশুর মরদেহ ও ভালুকায় নিখোঁজ হওয়ার পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে দাপুনিয়া কাওয়ালটি এলাকায় বাড়ির পাশ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্বজনরা জানান, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালটি গ্রামের আরিফ রব্বানীর ছেলে মো. হোসাইন (৪) ও আসাদুজ্জামান রুবেলের ছেলে রেজুয়ান আহমেদ (৫)। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার সময় থেকে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না তাদের দুজনকে। দিনভর বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের। পরিবারের সদস্যরা আশপাশে খোঁজ করেও কোথাও না পেয়ে সন্ধ্যার পর থানায় জিডি করে।
রোববার সকালে বাড়ির পাশের ময়লাযুক্ত জলাশয়ে শিশুদের জুতা ভেসে থাকতে দেখে ছুটে যান সবাই। পরে শিশু দুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিশু দুটির মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ শিশু দুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে, তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
মৃত রেজওয়ান আহমেদের বাবা আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মেরে ডোবায় ফেলে রেখেছে, যারা আমার ছেলেকে মেরেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, বিচার চাই আমি।’ মৃত দুই শিশুর বাবা ঢাকায় কাজ করতেন। ছেলের নিখোঁজের খবর শুনে বাড়িতে এসেছেন দুজনই।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিল দুই শিশু। আমরা ধারণা করছি পানিতে ডুবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ চাইলেও আমরা ময়নাতদন্ত করে পরে লাশ হস্তান্তর করছি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ বা হত্যার বিষয়ে তথ্য দিলে আমরা তা খতিয়ে দেখব। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের মরচি গ্রামে গতকাল শনিবার বিকেলে নিখোঁজ হয় শিশু মীম আক্তার (১০)। পরে সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
ভালুকা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর কালবেলাকে বলেন, এ নিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ ছিল না।
মন্তব্য করুন