ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহনের জন্য চরম ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরের বর্ষা মৌসুমে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে এ অবস্থা। ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ছোট-বড় খানাখন্দগুলো। মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক যেন বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের জন্য।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর ঢালু থেকে চেঙ্গাইন, মদনপুর, কেওঢালা, লাঙ্গলবন্দ, সোনাখালী, দড়িকান্দি, টিপুর্দী, হাবিবপুর, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এবং মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের দুপাশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে গেছে। ফলে মহাসড়কে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতগতির যানবাহনের চালকদের জন্য এটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে ফাঁদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে দূরপাল্লার যানবাহনসহ পথচারীরা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, টানা বৃষ্টি ও মহাসড়কের পাশের ঘাস ও ঝোপঝাড়ের কারণে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি জমে এ খানাখন্দ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগেই খানাখন্দগুলো মেরামত করেছেন বলেও দাবি করেন। হয়তো বৈরী আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে ব্যস্তময় এ সড়কে পুনরায় খানাখন্দ সৃষ্টি হতে পারে।
পরিবহন চালক কবির মিয়া বলেন, মহাসড়কে এমন খানাখন্দে দুর্ঘটনার ভয় ও গভীর রাতে ছিনতাইয়ের ভয়ও রয়েছে। মহাসড়কের এ পথটি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের হটস্পট বলে পরিচিত। দ্রুত এ সড়কের সংস্কার দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের এ অংশটিতে বছরজুড়েই জোড়াতালি দিয়ে কাজ করা হয়। এক সপ্তাহ পরই জোড়াতালির এসব কাজের কার্পেটিং উঠে যায়। স্থায়ীভাবে মেরামত করা না হলে সড়কের বেহাল অবস্থা দূর হবে না।
দাউদকান্দি থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী তারানা শারমিন বলেন, ইদানীং মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। দিনের বেলায় গর্তগুলো দেখা গেলেও রাতে গাড়ি চালানো ও চলাচল করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। খানাখন্দের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে চলাচল করতে হয়।
প্রাইভেটকার চালক মোক্তার হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে গর্তের সংখ্যা ও গভীরতা অনেক বেড়েছে। গাড়ির চাকা গর্তে পড়লেই নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ যেন সড়ক নয় মরণফাঁদ।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। আশা করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মহাসড়কে আর কোনো খানাখন্দ থাকবে না।
মন্তব্য করুন