গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত কারাগার থেকে কোনো বন্দি পালানোর খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন কারারক্ষী আহত হন বলে জানা গেছে।
হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতার সঙ্গে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার আগে ও পরে গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে একাধিক সহিংসতা ও হামলার ঘটনা ঘটে।
দিনের শুরুতে, সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই সময় সেখানে গেলে ইউএনওর গাড়িবহরের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর, গোপালগঞ্জ সদরের উলপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তা ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
দুপুরে শহরের কেন্দ্রস্থলে এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও সমাবেশে হঠাৎ করে হামলা চালায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তারা আকস্মিকভাবে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়।
সমাবেশ শেষে যখন এনসিপির নেতাকর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের ওপর চারদিক থেকে ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের গাড়িসহ এনসিপির যানবাহন আটকে দেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক ঘুরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
গোটা দিনে গোপালগঞ্জে সংঘটিত এসব হামলা, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ এবং কারাগারে ভাঙচুরের ঘটনায় জেলার পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাকর হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন