নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এমপিওভুক্ত শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে জড়িয়েছেন।
শরীরচর্চার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান শিক্ষক আলী আজগর ও কৃষি শিক্ষক এ কে এম আসাদুজ্জামান মিলে বিদ্যালয়ের পাশে জায়গা ভাড়া নিয়ে ‘নিউ মডেল পাবলিক স্কুল’ নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালক হওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। ধর্ম শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন বিদ্যালয়ের পাশে ‘আইটেক মাল্টিমিডিয়া’ নামে দোকান খুলে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন কম্পিউটার কাজ ও ফটোকপি সেখান থেকে করাতে, ফলে অভিভাবকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে আদায় করে তা স্কুল তহবিলে জমা না দিয়ে শিক্ষকরা নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. বশির উদ্দিন।
অভিভাবক ইসমাইল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন, আবুল হোসেন ও আলম মিয়া বলেন, শিক্ষকরা সিন্ডিকেট গড়ে শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করেছেন।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ওই তিন শিক্ষকসহ মোট ১০ জন। শফিকুল ইসলাম স্বীকার করেন তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানে বছরে কিছু সুবিধা পান। তবে অন্য শিক্ষকরা অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সভাপতি ফারাহ ফাতেহ তাকমিলা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাশফাকুর রহমান কালবেলাকে জানান, এসব অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন