বগুড়া শহরের সেউজগাড়ির একটি ছাত্রাবাস থেকে মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তোহা (১৮) নামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
তারিকুল ইসলাম তোহা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোলার তাহির গ্রামের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ছেলে। তিনি করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসির পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোহা দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করছিলেন। সোমবার দুপুরে দীর্ঘ সময় রুম বন্ধ থাকায় অন্য ছাত্ররা সন্দেহ করে ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তোহার মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তার বন্ধুরা জানান, তিনি একটি মেয়েকে ভালোবাসতেন। কয়েকদিন ধরে মেয়েটির সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। এই ধারাবাহিকতায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে মেয়েটির সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি তার ছাত্রাবাসের রুমের দরজা বন্ধ করে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে কালো গেঞ্জি দিয়ে মুখ ঢেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এর আগে তিনি তার এক চাচাতো ভাইকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে সে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না লাগানোর আত্মহত্যার প্রস্তুতির ছবিও তার চাচাতো ভাইয়ের মেসেঞ্জারে পোস্ট করে। এরপর তার চাচাতো ভাই বিষয়টি তার সাবেক রুমমেট সৈকতকে জানায়। এরপর সৈকত মোবাইল ফোনে বিষয়টি ছাত্রাবাসের লাবিবকে জানায়। পরে লাবিব অন্যদের সঙ্গে নিয়ে তার রুমের কাছে দিয়ে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। এক পর্যায়ে জানালা খুলে দেখতে পারে তার লাশ তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আত্মহত্যা কারণ এখন জানা যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন