রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত আব্দুল্লাহ ছামীমের (১৩) মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
ছামীম ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের মৃত আবুল কালাম মাঝির ছোট ছেলে। সে ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছামীম বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। তার বাবা ছিলেন সৌদি আরব প্রবাসী ও ফল ব্যবসায়ী। সাত মাস আগে বাবার মৃত্যু হলে মা, দুই ভাই ও তিন বোনকে নিয়ে ছামীম উত্তরা দিয়াবাড়িতে নিজেদের বাসায় বসবাস করত।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ চত্বরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ছামীম ওই সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় গুরুতর দগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় ছামীমের পরিবার ও এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয়রা জানান, মেধাবী ছাত্র হিসেবে ছামীম সবার প্রিয় ছিল। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের মাতম চলছে।
মন্তব্য করুন