নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীর মোহনায় একটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতেরা মাছ ধরা ট্রলার ও ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ জন জেলেকে ট্রলারসহ অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। ডাকাতেরা এরই মধ্যে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি জেলেদের স্বজনেরা জানতে পারেন।
পরে পরিবার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নৌপুলিশকে অবহিত করা হয়। নৌপুলিশ বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেও অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করতে পারেনি।
অপহৃত ১১ জেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটোওয়ারী ইউনিয়নের চর ফলকন গ্রামের বাসিন্দা।
ট্রলারের মালিক নূর সোলেমানের ভাই নূর আলম মাঝি জানান, মঙ্গলবার রাতে ঠেঙ্গাচর এলাকায় সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় তার ভাই নুর সোলেমানসহ ১১ জেলেকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো সন্ধান পাইনি। তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কল যায় কিন্তু রিসিভ করে না। এদিকে অপর একটি নম্বর থেকে কল করে নাম পরিচয় না বলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
অপহৃত ট্রলারের দাদন দেওয়া হাতিয়া বৌ বাজার ঘাটের আড়তদার ও চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালীম আজাদ বলেন, ট্রলারের মাঝি মাল্লার সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে দাদন দিয়ে ব্যাবসা করে আসছি। তাদের অপহরণের খবর পেয়ে হাতিয়া নৌপুলিশকে অবহিত করে তাদেরকে নিয়ে কয়েকটা জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশের ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহা কালবেলাকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপর স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল এবং আশেপাশে অভিযান পরিচালনা করে কিছু পাওয়া যায়নি। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন