রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ ও ছাত্রত্ব বাতিল

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটক। ছবি : সংগৃহীত
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটক। ছবি : সংগৃহীত

১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র‌্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ভিসি বলছেন, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্টবোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পতনের দিন পর্যন্ত কোনো কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগেই শিক্ষাজীবন শেষ করেছিলেন এবং ৫ আগস্টের পর ক্যাম্পাসে পরীক্ষা বা শ্রেণি কার্যক্রমে আসতে পারেনি কোনো ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারা বরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা, বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।

বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এক দিন নিশ্চয় এই অবিচারের বিচারও হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন কালবেলাকে বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাকৃবিতে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

বিয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসে খুন হলেন নারী 

পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মেন্টরস' স্টাডি অ্যাব্রোডের আয়োজনে ‘স্টাডি ইন দ্য ইউকে অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড ওপেন ডে’

পাকা চুল বা দাড়ি তুলে ফেলা কি জায়েজ?

শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ

পূর্বপুরুষের হস্তান্তর করা জমি দাবি করে আরেক জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

১০

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে শাহরুখপুত্রের অভিষেক

১১

স্বাস্থ্য খাতে ‘দুর্নীতির হোতা’ মিঠু ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

রহস্যময় সৌন্দর্যে ঘেরা ৭০০ বছর পুরোনো সোনারগাঁয়ের পোদ্দার বাড়ি

১৩

অ্যানফিল্ডে দর্শকের সঙ্গে ঝগড়া করে লাল কার্ড দেখলেন সিমিওনে

১৪

প্রথমবার পডকাস্টে আফজাল হোসেন

১৫

চুরি গেল জাদুঘরে রাখা ‘ফেরাউনের’ স্বর্ণের ব্রেসলেট

১৬

একে অন্যের বোনকে নিয়ে পালালেন শ্যালক-দুলাভাই

১৭

আত্মীয়স্বজনের যে আচরণের কারণে মৃত ব্যক্তিকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়

১৮

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়লেন সালাহ

১৯

গাজা নিয়ে জাতিসংঘে চাপে যুক্তরাষ্ট্র

২০
X