বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, যারা নির্বাচনকে ভয় পায় তারা সংস্কারের দোহাই দিয়ে সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাবনা ২০২৩ সালে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, এই ৩১ দফা সংস্কারের মধ্যেই রয়েছে আগামীর সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশের রূপরেখা। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা ও ধানের শীষের পক্ষে নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের একটি হলরুমে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এস এম জিলানী বলেন, যেসব কাজ করলে দেশ এবং দলের উপকার হবে সেই কাজ করতে হবে এবং যেই কাজ করলে দেশ ও দলের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকতে হবে। কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। একাত্তর এবং চব্বিশের পরাজিত শত্রুরা দেশ, দল ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্র ও প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র ও অপ্রচারের বিরুদ্ধে রাজপথ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাকর্মীদের শালীনতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে সোচ্চার হতে হবে।
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হাসান জুয়েল।
উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফছর খান, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিফতাহুল কবির মিফতা, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মুনিম, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল চৌধুরী উজ্জল, আব্দুল রউফ, সৈয়দ সরওয়ার রেজা, এমদাদ বক্স, কায়সান মাহমুদ সুমন, টিটন মল্লিক ও জাহাঙ্গীর মিয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল, মিছবাউর রহমান, আব্দুস সালাম আজাদ সাহেদ, শেখ আব্দুল মনাফ, হাবিবুর রহমান হাবিব, খন্দকার ফয়েজ আহমদ, রুমেল আহমদ রুশন, সাইদ মাহমুদ ওয়াদদু, সাইদুর রহমান, মো. আশিক মিয়া, সাইদুল এনাম চৌধুরী লাহিন, সেলিম আহমদ, নুরুল ইসলাম রুহুল, আয়াত আলী প্রিন্স, কয়েস আহমদ, আব্দুল আমিন ও দিহান আহমদ হারুন।
মন্তব্য করুন