গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে কোল্ডড্রিঙ্কসের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (০৯ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন, যা পরে মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।
শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ মোড়ল পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন কাওরাইদ ইউনিয়নের মোড়ল পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম হায়দার (৪৫), জসীম উদ্দীন (৩০), বাবলু মিয়া (২৫) ও সাব্বির আহমেদ (২০)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। ২০ দিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টির কারণে সে একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। ওই অভিযুক্ত শিশুটিকে কোল্ড ড্রিঙ্কসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে পান করায়। পরে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পাশের গজারি বনে নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় অভিযুক্তরা পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং কারও কাছে বিষয়টি না বলার জন্য শিশুটিকে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভিডিওটি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার গণধর্ষণ করে।
জানা যায়, ঘটনার বিষয়ে ভয়ে শিশুটি প্রথমে পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু অভিযুক্তরা ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি শিশুর ভাইয়ের নজরে আসার পর সে পুরো ঘটনা পরিবারকে খুলে বলে। পরে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এ নিয়ে শনিবার শিশুর পিতা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন মোড়ল বলেন, এরা সবাই মাদকসেবী, দিনের বেলায় এরা মাদক সেবন করে, রাতের বেলায় এরা চুরি করে। এরা নেশাগ্রস্ত হয়েই শিশুটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছে। এরা সবাই অপরাধী, এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আগামীতে আমার মা-বোনও ঘর থেকে বের হতে পারব না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন