রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মার পানি বিপৎসীমায়, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। ছবি : কালবেলা
রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। এতে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুরে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ, পবার চর মাজারদিয়া এবং নগরের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।

রাজশাহী শহরের জন্য পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। বুধবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৩টা পর্যন্ত পানির পরিমাপ একই ছিল। নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। পদ্মা পাড়ের বস্তিগুলোর মানুষেরা নদীর পানি কমে যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছেন।

রাজশাহী নগরের পঞ্চবটি খড়বোনার বাসিন্দা মাজেরা বিবি। পদ্মাপাড়ে মাজেরা বিবির বাড়িতে এখন হাঁটুপানি। মাজেরা বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধইরি পানির ভিতরেই আছি বাপ। কিছু তো করার নাই। তাকায় আছি যে কবে পানি নামবি। পানিত থাইকি হাত-পাও সব ঘা হয়ে গেল। খালি চুলকায়।’

নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের পাশের বস্তিতে বাস করে অনেক পরিবার। বুধবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পানি এসে ঢুকেছে বাড়িঘরে। বস্তির বাসিন্দা মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমরা শহরেই থাকি, কিন্তু বাস করি গ্রামের মতো। নদীতে পানি বাড়লেই ঘরবাড়ি ডুবে যায়। এটা আমাদের প্রতি বছরের দুর্ভোগ।’

এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মার আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। এতে প্রায় ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বহু বাড়িঘর। ফসল হারিয়ে দিশাহারা কৃষকেরা এখন কাঁচা ধান গরুর খাবার হিসেবে কেটে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের মাঠগুলোতে এখন শুধু পানি আর পানি। গলাপানিতে নেমে ধান কাটছিলেন চায়না বেগম (৩৫) ও তার স্বামী শমশের আলী (৪০)। শমশের আলী জানান, ২৫ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে পাঁচ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করেছিলেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘কাঁচা ধান গরুর জন্য কেটে নিচ্ছি। এবার আমরা সারাবছর কী খেয়ে বাঁচব, সেই চিন্তায় মরে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মা নদীর পানি এখন স্থিতিশীল রয়েছে। পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে আছে। তবে বিপৎসীমার এক মিটার নিচে থেকেই আমরা সতর্কতা অবলম্বন করি। আমরা সতর্ক আছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও খেলবে নেশনস লিগ!

রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানো ভালো নাকি ক্ষতিকর? যা বলছে গবেষণা

ঢাকা-৫ আসনে আজহারির প্রার্থিতার খবর গুজব

টিনশেড কলোনিতে ভয়াবহ আগুন, ১০০ ঘর পুড়ে ছাই

জুটি বাঁধলেন খাইরুল বাসার ও সাদনিমা

জোবায়েদ হত্যা / জবানবন্দিতে বর্ষাকে নিয়ে যা বললেন জবি ছাত্র সৈকত

অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয় স্পষ্ট করলেন ফয়েজ তৈয়্যব

‘ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে’

প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা, প্রধান শিক্ষককে কারাদণ্ড

আমিরে জামায়াতের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১০

ঢাবির ফার্মেসি অনুষদে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান

১১

গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক ২০২৫-এর জাতীয় পর্বের উদ্বোধন

১২

মামলা করলেন ‘কেজিএফ’ তারকা যশের মা

১৩

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে জকসু নির্বাচনে প্রার্থী সাজ্জাদ

১৪

‘সোলজার’ সিনেমায় রাকিন 

১৫

গাজীপুরে কারখানায় লাগা আগুন ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

১৬

কয়রায় অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কর্মপরিকল্পনা যাচাই সভা

১৭

ব্রাকসুর তপশিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর

১৮

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী আরেক কোম্পানির নাম ফাঁস

১৯

জকসুতে স্বতন্ত্র হিসেবে জিএস পদে লড়বেন বাঁধন সভাপতি মাবুদা

২০
X