পেঁয়াজের বাজার কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কমতে শুরু করেছে দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৫-৮০ টাকা। রোববার (১৭ আগস্ট) তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। এমন দাম কমায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাসুম হোসেন বলেন, দিন দিন সব কিছুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এরমধ্যে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ে যাই। ফলে আমাদের ক্রয় করতে সমস্যা হচ্ছিল। দুদিন আগে পেঁয়াজ কেজিতে ৭৫ টাকা করে কিনলেও আজ ৬৫ টাকায় কিনেছি। পেঁয়াজের দাম আরও কমলে আমাদের সাধারণ ক্রেতা ভালো হবে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ভারত থেকে আমদানি খবরে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দুদিন আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা দরে। আজ তা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে। কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। আমরা কম দামে কিনলে কমে বিক্রি করব। ভারত থেকে পেঁয়াজ প্রচুর আমদানি হলে দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে সীমিত পরিমাণ আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) দেওয়া হয়েছে এটি ব্যবসায়ীদের জন্য যথেষ্ট নয়। সেইসঙ্গে প্রতিদিন মাত্র ৩০ টন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগে এমন শর্ত ছিল না। হাজার হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। যদি সরকার শর্ত দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম ধাপে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। অনুমতি পাওয়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে পেঁয়াজ আনতে পারবেন। পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সততা বাণিজ্যলায়, নাশাত ট্রেডার্স, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রেডার্স এবং জগদীশ চন্দ্র রায়।
মন্তব্য করুন