ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের বাস ভাড়া ৫ টাকা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা যাত্রী ও পণ্যপরিবহন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান জেলার গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ম মেনে চলতে বলেন জেলা প্রশাসক। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন তিনি।
সভায় উপস্থিত পরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন। ফলে সভায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়। সবাই নিজের দাবির প্রতি যুক্তি তুলে ধরেন।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের হিসেব পর্যালোচনা করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ভাড়া আসে প্রায় ৬০ টাকা। ফলে উপস্থিত সবাই ভাড়া নির্ধারণের দায়িত্ব ছেড়ে দেন জেলা প্রশাসকের ওপর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনের বাইরে কিছু করতে পারব না। আইন অনুযায়ী সবাই ন্যায্য অধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। সে অনুযায়ী সবার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ভাড়া ৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয় অর্ধেক।
এদিকে ৫ টাকা ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান জেলার গণসংহতি আন্দোলনের নোতার। যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে গত বছরের ৭ নভেম্বর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাস মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৫ টাকা বাড়ানো অযৌক্তিক।
সরকারি বিধি ও দূরত্ব-ইউনিটের হিসাব তুলে ধরে তারা বলেন, ৪৫ টাকা ভাড়া যৌক্তিক দাবি করেছিলাম। পরে সমঝতার ভিত্তিতে ৫০ টাকা মেনে নিই। এখন বাস মালিকদের অযৌক্তিক দাবি জেলা প্রশাসন মেনে নিয়ে যে ৫ টাকা বাড়িয়ে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
অঞ্জন দাস বলেন, আগে বাস মালিকদের চাঁদা দিতে হতো। অভ্যুত্থানের পর তারা চাঁদা থেকে মুক্তি পেয়েছে। গত এক বছরে জ্বালানির দামও বাড়েনি। তাই ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, আমরা ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু মেজরিটির কারণে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
মন্তব্য করুন