কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামে ৬ হাজার শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। নগরীর ১০৬ স্কুলের শিক্ষার্থীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জিইসি কনভেনশন সেন্টারে গ্রামীণফোনের সহায়তায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবের আয়োজন করে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমারাই দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, সুন্দর ও সার্বভৌম আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সমাজের অবক্ষয় হয়েছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে। আমরা বই পড়ে জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করব। এতে করে আমাদের নৈতিক উন্নয়ন হবে এবং সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটবে।

বাংলাদেশি পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী, লেখক ও পর্যটক ইনাম আল হক বলেন, আমাদের আনন্দে থাকতে হবে, আনন্দে বাঁচতে হবে। আর আনন্দের জন্য সবাইকে বেশি বেশি বই পড়তে হবে।

গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন।

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বই পড়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরাও গর্বিত।

সভাপতির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য শামীম আল মামুন বলেন, যারা বই পড়ে তারা বড় মানুষ হয়। তারা দয়াবান ও বিবেকবান হয়। তোমরা যারা পুরস্কার পাচ্ছো, তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বই পড়ব- এই প্রত্যাশা রইল সবার প্রতি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সংগঠক অধ্যাপক আলেক্স আলিম। দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০৬টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী ৬ হাজার ২৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৯০টি স্কুলের ৫ হাজার ৩৮০ জন সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষক/সংগঠক পুরস্কার গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০ জন ছাত্রী এবং এক হাজার ৩৩০ জন ছাত্র। মোট স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৩ হাজার ৯১ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৯২৪ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৩১ জন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্ষণ মামলার সাক্ষী বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

অবসরে যাচ্ছেন রজনীকান্ত? গুঞ্জনেই অনুরাগীদের মধ্যে তোলপাড়

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে লাহোর, ঢাকার খবর কী

সামরিক বিমানের ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল টেসলা গাড়ি

ডায়াবেটিস বেড়েছে বুঝবেন যেসব লক্ষণে

আজীবন ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করা সেই নারী এখন প্রেসিডেন্ট

নতুন করে গাজায় বিমান হামলা, নিহত ১৮

আজ রাত থেকে দুদিন গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৬ ক্যাটাগরিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের বড় নিয়োগ

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১০

নারী প্রধানমন্ত্রীকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা আরেক প্রধানমন্ত্রীর, ভিডিও ভাইরাল

১১

বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় ভোগান্তিতে কুবি শিক্ষার্থীরা

১২

ইউএস-বাংলা গ্রুপে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে থাকছে দুদিন ছুটি

১৩

যুবদল এদেশের আন্দোলনের প্রাণ ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক : সেলিমুজ্জামান

১৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৫

নিয়োগ দিচ্ছে প্রাণ গ্রুপ, ৩১ অক্টোবর আবেদনের শেষ তারিখ

১৬

ঘুমন্ত ৬ জনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু

১৭

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮

২৯ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে ট্রাম্পের যত বাধা

২০
X