রাজশাহীর পবা উপজেলায় খানকা শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলা চালিয়ে আজিজ ভান্ডারী নামে খানকা শরিফটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জুমার নামাজের পর স্থানীয় তৌহীদি জনতা ও মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
জানা গেছে, ফটিকছড়ি মাইজভান্ডারী দরবার শরিফের পীর গোলামুর রহমানের ভক্ত পবার আজিজুল ইসলাম। তিনি খেলাফত নিয়ে নিজে তার ভক্তদের বায়াত দিয়ে থাকেন। পবার পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে তিনি মাইজভান্ডারীর নামে খানকা শরিফও করেছেন। সেই খানকা শরিফেই গতকাল হামলা হয়।
আজিজুল ইসলাম মাইজভান্ডারীর জামাতা বুলবুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও খানকা শরিফের পক্ষ থেকে তিন দিনের ওয়াজ মাহফিল এবং ওরসের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ছিল ভক্তদের আগমন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ওয়াজ মাহফিল ও তবারক বিতরণ এবং শনিবার ওরস আয়োজন করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, খানকা শরিফে হামলা চালানো হতে পারে— এমন খবর আমরা আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অবগত ছিল। কিন্তু শুক্রবার জুমার নামাজের পর হঠাৎ করে দলে দলে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পুরো খানকা শরিফ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, দরবার শরিফের নাম করে সেখানে মাদকের হাট বসত। প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা হতো। সেখানে বেদাত কাজ হতো। তাই স্থানীয় জনতা সেটি ভেঙে দিয়েছে। তিনি জানান, খানকা শরিফটি মূলত টিনের ছাউনি দিয়ে আবৃত ছিল। স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে টিনের ছাউনি ও বেড়া ভেঙে দিয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় জনতা ওই খানকা শরিফ ভেঙে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন