রাজশাহী মহানগরীতে জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর ডলফিন ক্লিনিকের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানার এটিএসআই মোনায়েমসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ সময় শিবিরকর্মীরা দুই-তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের দুই কর্মীকে আটকও করেছে পুলিশ।
আকটরা হলেন- নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন মইনুল হকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আখতারুজ্জামানের ছেলে মোবারক হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় বাধা দান, দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজায় হামলা, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন অভিযোগে সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতে শনিবার বিকেলে নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নগরীর ডলফিন ক্লিনিক মোড়ে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ শিবির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জামায়াত-শিবির কোনো অনুমতি না নিয়েই নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়ে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় পুলিশের এক এটিএসআইসহ তিনজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পু্লিশ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন