ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। কোনো ফ্যাসিস্ট যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য আমাদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলপূর্বক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, এ দেশের মানুষ বিভিন্ন দলের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখেছে, বিভিন্ন আদর্শ দেখেছে। এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছরের নির্বাচন জাতির আকাঙ্ক্ষা ও জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। সেই ব্যর্থ ব্যবস্থায় আবারও নির্বাচন হলে তৈরি হওয়া জঞ্জাল দূর হবে না। এই বাস্তবতায় পিআর পদ্ধতি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও আগের ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজরা, খুনিরা, স্টেশন দখলকারীরা, ঘাট দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে- তা হবে না। প্রয়োজন হলে আবারও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য রাজপথে মানুষ নামবে।
তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর দেশে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনগুলোতে দিনের ভোট রাতে দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখল করে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে। অযোগ্য লোকগুলোকে দিয়ে সংসদ বানিয়েছে, গানের আড্ডালয় বানিয়েছে। তাই আমরা পিআর পদ্ধিতিতে নির্বাচন চেয়েছি। পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুজিবুর রহমান শামীম, আলহাজ আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খুলনা মহানগর সভাপতি মাও. শরীফ সাইদুর রহমান, হাফেজ শহিদুল ইসলাম, জেলা সহসভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাও. আবু সাঈদ, আবু গালিব, শোয়াইব আহমেদ, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাও. দ্বীন ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসেন মিয়া, মাও. ইলিয়াস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন