যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে কারারক্ষী স্বামী সজিবকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দিয়েছেন।
সজিব পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি বরগুনা জেলা কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, সজিবের স্ত্রী মুক্তা ইসলাম বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বাদী হয়ে এ বছর ৬ মার্চ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, সজিবের সঙ্গে বাদী মুক্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মুক্তা গর্ভবতী হলে সজিব তাকে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। সজিব বরগুনা কারাগারে চাকরির সুবাদে বরগুনার উপকণ্ঠে মনসাতলীতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ওই বাসায় এ বছর ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টায় সজিব তার স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
মুক্তা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে সজিব উত্তেজিত হয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করেন। মুক্তা মামলা করার পরে বরগুনা সমাজসেবা কর্মকর্তা বাদীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন ওই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
বাদী বলেন, সজিব আমাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি গর্ভবতী হলে সজিব আমাকে বিয়ে করেন। আবার ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করেন।
আসামি সজিব কোর্ট বারান্দায় বলেন, মুক্তা আমাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। আমি মুক্তাকে তালাক দিয়েছি। তালাক দেওয়ার পরে মুক্তা মামলা করেছে। এ ছাড়া মুক্তা আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলাও করেছে। সেই মামলায় আমি জামিনে আছি।
তিনি আরও বলেন, মুক্তার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। বরগুনায় কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে আমার তালাক দেওয়া স্ত্রী।
মন্তব্য করুন