ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার স্নিগ্ধতার মাখামাখিতে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে।
কুয়াশামাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসল্লি, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজে বের হওয়া শ্রমিকরা। এতেই বোঝা যায়, নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলায় উঁকি দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। কুয়াশার ছাদরে ঢেকে গেছে গ্রামাঞ্চলের পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা।
সকালে গ্রামীণ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে চারপাশে এক ভিন্ন রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লি, হাঁটতে বের হওয়া পথচারী ও কাজে যাওয়া শ্রমিকরা কুয়াশামাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করেছেন। তবে কুয়াশার কারণে অনেক যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক গোলজার রহমান বলেন, দিনে গরম থাকলেও শেষ রাতে হালকা শীত অনুভব হচ্ছে। এখন থেকেই কাঁথা গায়ে জড়াতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, শীত আর বেশি দূরে নেই।
স্কুলশিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, সকালে বের হলে চারপাশে শুধু কুয়াশাই দেখা যাচ্ছে। পুরো পরিবেশ অনেক সুন্দর লাগছে, মনে হচ্ছে প্রকৃতি নতুন রূপে সাজছে।
অটোরিকশাচালক মজিবুল ইসলাম বলেন, কিছুটা কুয়াশা থাকায় গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে চালাচ্ছি। তবে শীতের শুরুটা বেশ ভালোই লাগছে। শীতের শুরুতে পরিবেশটা ভালো লাগে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, রোববার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে এখনো গরম অনুভূত হলেও শেষ রাতে হালকা শীত পড়ছে। তবে ঘন কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত শীত নামতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
মন্তব্য করুন