সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরাজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম ডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাত, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান লিপন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম এবং বকশীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. মিলন চৌধুরী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও ৭১ টিভির সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মামলার এজাহারে যাদের নাম জোরালোভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে, তাদের স্ব স্ব সংগঠন সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
এছাড়া, কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাতদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ জুন) রাতে অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশীগঞ্জ পাটহাটি পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাদিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন