খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও উপজেলার আশপাশে ১৪৪ ধারা চলছে। এক মারমা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এরইমাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলামের একটি ভিডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়িতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনি বক্তব্যটি দেন।
বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার সৈনিকের জীবন দিয়ে হলেও এই মন্দির রক্ষা করব। আমার জীবন থাকতে এই মন্দিরে কেউ হাত দিতে পারবে না। এখন ১৪৪ ধারা চলছে, তোমরা জায়গা ফাঁকা করে দাও।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সদরের য়ংড বৌদ্ধ বিহারের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
শনিবার জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়া ও সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২৩ জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ জান-মাল রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। দুজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল কালবেলাকে বলেন, শনিবার দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে উত্তেজিত দুপক্ষকে আমরা সরিয়ে দিই। নতুন করে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন