নেত্রকোনা পূর্বধলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোকাব্বির হোসেনের বিয়ে উপলক্ষে যখন বাড়িতে উৎসবের আমেজ, তখনই সেখানে উপস্থিত হয়ে এক নারী নিজেকে তার স্ত্রী দাবি করেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৌলাটি নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মোকাব্বির যখন বর সেজে কনেকে আনতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ওই নারী সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনি দাবি করেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পরিবারের অজ্ঞাতে তাদের বিয়ে হয়েছে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাসও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে মোকাব্বিরের দ্বিতীয় বিয়ের সংবাদ শুনে স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে তিনি সরাসরি বরের বাড়িতে চলে আসেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মোকাব্বির গা-ঢাকা দেন। অন্যদিকে বরের পরিবার ঘরের ভেতর থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ওই নারী দরজার সামনেই অনশনে বসে পড়েন। তিনি হুমকি দেন স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এদিকে বরের পরিবার জানান, ওই নারীর বিষয়টি নিয়ে তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় মতো পরিষোধ না হওয়ায় এই কাণ্ড।
নারীর নানা আব্দুস ছালাম আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ঘরোয়াভাবে মিটমাট করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঘটনাটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসায় এখন আর এর সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।
স্ত্রী দাবি করা ওই নারী গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এর আগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে সেখানে বিচ্ছেদ হয়। এরপরই মোকাব্বিরের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন