জয়পুরহাটের বাজারে সবজির দাম এখনো আকাশছোঁয়া। নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন সবজি কিনতে এসে। তারা আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না কিছুতেই। সবজি বিক্রেতাদের ভাষ্য, বর্ষার কারণে কৃষক পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি।
এদিকে তিন দিন আগেও কাঁচামরিচের কেজি ছিল ২০০ টাকা। সেই মরিচ কেজি প্রতি ৫০-৮০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জয়পুরহাট শহরের তিনটি কাঁচাবাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একমাত্র পেঁপে ছাড়া কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে শুধু ৩০ টাকা কেজি দরে। বেগুন প্রতি কেজি ১০০, করলা ১০০, মিষ্টি লাউ ৬০, ঢ্যাঁড়স ৬০, বরবটি ৬০-৮০, পটোল ৬০-৭০, শিম ২৪০, মুলা ৬০, কচুর বই ৪০, কচুর লতি ৬০, শজিনা ২০০, কাঁকরুল ৬০, লাউ প্রতিটি ৬০ টাকা, কুমড়া ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজি, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বেশ কিছু দিন ধরেই ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সব সবজিতে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছে।
জয়পুরহাট শহরের পূর্ব কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা ময়নুল ইসলাম সবজির দাম এত বেশি কেন বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে বর্ষার জন্য দাম বেড়েছে জানান। ওই ক্রেতা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আকাশে মেঘ দেখলেই সবজির দাম বাড়ে।’ তিনি প্রতি উত্তরে বলেন, ‘এমন কি বৃষ্টি হচ্ছে, এর মধ্যে ২০০ টাকার মরিচ ২৫০ টাকা হবে।’
শহরের সরদারপাড়া এলাকার স্বল্প আয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, ‘কাঁচাবাজারে তরকারি কিনতে গেলে বাজারের হিসাব আর ঠিক থাকে না। গত রোজার সময়ও এত দাম ছিল না।’
দুর্গাদহের রিকশাচালক আমিনুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের বাজারেও দাম প্রায় শহরের মতো। রিকশা চালিয়ে আয় করে সংসার চালাতে কষ্টই হচ্ছে।’
জয়পুরহাট শহরের নতুনহাটের সবজি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, বর্ষার কারণে বাজারে আমদানি কম হওয়ার কারণে দাম বেশি। তারা কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। সবজি সব বিক্রি না হলে তা পচে নষ্ট হয়। তাতে তাদের লোকসান হয়। সবজির ব্যবসায় সামান্য লাভ হয়।
পূর্ব বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবু হোসেন বলেন, ‘এ সময় প্রতি বছর সবজির দাম চড়া থাকে। বাজারে আমদানি কম। আর কিছু দিন পর বাজারে নতুন সবজি আসবে তখন এ দাম থাকবে না।’
মন্তব্য করুন