প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি কর্মী মো. মোতাহার হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোতাহার হোসেনকে দেখতে যান তিনি।
এ সময় মোতাহার হোসেনের তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার লস্করপুর বাজারে স্থানীয় বিএনপি নেতা ইমদাদ মাস্টারের নেতৃত্বে এ হামলা সংঘটিত হয়। এ ছাড়াও ইমদাদ মাস্টারের দুই ছেলে আরাফাত, শাফাত ও স্থানীয় বিএনপি নেতা রিফাদ, ইফাদ, রবি, নুর মিয়া এবং ওমরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। লিফলেট বিতরণ শেষ করে পারভেজ মল্লিক ফিরে আসার পর মোতাহার হোসেনের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
আহত মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা পারভেজ মল্লিকের সঙ্গে মোকামপুর এবং লস্করপুরে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচার করছিলাম। প্রচারণা শেষে পারভেজ মল্লিক সাহেব বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তখন আমিও বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় বিএনপির কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু তারা চায় খুলনা-৪ আসনের কোনো বিএনপির কর্মী হেলাল সাহেব ছাড়া অন্য কারও পক্ষে কাজ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা আমার ওপর হামলা চালায় তারা কেউই প্রকৃত বিএনপির লোক নয়। এরা সুবিধাবাদী লোক। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করে এখন এরা হেলাল সাহেবের গ্রুপে ঢুকেছে। হেলাল সাহেবকে খুশি করতেই তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক বলেন, যে মানুষটাকে আহত করা হয়েছে তিনি আমার কাকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রচার করতে গিয়ে তাকে যেভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তাদের একটাই পরিচয়, তারা সন্ত্রাসী। তারা দলীয় পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে দল তার দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন