প্রতিবন্ধী কার্ডের টাকা না পাওয়া এবং ভুল বুঝিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার প্রতিকারের দাবিতে সাতক্ষীরার আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের আ. সালামের স্ত্রী নারগীছ পারভীন ও তার স্বামী লিখিত বক্তব্যে জানান, নারগীছ একজন প্রতিবন্ধী। ২০১৭ সালে তার নামে প্রতিবন্ধী কার্ড হয়। কার্ড পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার টাকা তিনি পায়নি। অসংখ্যবার ইউনিয়ন পরিষদের উদোক্তা আসমা খাতুনের কাছে যান তারা। বলা হয় তার একাউন্টে টাকা পৌঁছায়নি, আসলে জানতে পারবেন। বছরের পর বছর টাকা না পেয়ে তারা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে বলা হয় প্রতিবন্ধী কার্ডের বিপরীতে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া, সেটি রেজিস্ট্রেশন করা উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের মা আকলিমা খাতুনের নামে। যার মোবাইল নম্বর ০১৯১০-২৬১ ৯৬৬।
এ ব্যাপারে টাকা ফেরত পাওয়াসহ আসমা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়ে আশাশুনি থানায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ ডায়রি করেন। একই সাথে আসমা খাতুনের অন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়নবাসী একাধিকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আসমার টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলাকালীন সময়ে হঠাৎ ১৪ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন, কামরুল ইসলাম এবং কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ি এসে আমাকে টাকা ফেরত দেবে বলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। স্বাক্ষরের সময় বিভিন্ন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করায় আমরা ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি।
আমি একজন প্রতিবন্ধী, আমার প্রাপ্য অধিকারটুকু চাওয়া কি আমার কোনো অপরাধ? দুর্নীতিবাজ আসমা খাতুনকে রক্ষার জন্য আমার বাড়িতে গিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার প্রতিকারে জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
মন্তব্য করুন