বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা বলেছেন, ধানের শীষের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভাদিয়াখোলা ফিরোজা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আফরোজা খান রিতা বলেন, আগে মানিকগঞ্জ যখন চারটি আসন ছিল, তখন চারটি আসনেই বিএনপির ছিল। এখন তিনটি আসন আছে। আগামী নির্বাচনেও যেন আমরা ধানের শীষে এ তিনটি আসনেই জয়লাভ করতে পারি। এ জন্য আমাদের দলীয় সব নেতাকর্মীকে ধানের শীষের জন্য কাজ করতে হবে। মনোনয়ন কে পেল, সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের কাজ করতে হবে আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ধানের শীষ প্রতীকের জন্য।
তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জবাসী ধানের শীষকে ভালোবাসি। বিগত ১৭ বছর আমাদের ধানের শীষ ছিল না; কিন্তু আমাদের হৃদয়ে ছিল ধানের শীষ। হৃদয়ে ধানের শীষকে আমরা লুকিয়ে রেখেছিলাম যেন একদিন সময় আসবে এ ধানের শীষকে আমরা আবার জাগিয়ে তুলব। এখন সে সময় এসেছে। আমাদের হৃদয়ের কষ্ট দুঃখ দূর করার জন্য এ ধানের শীষের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেকের মনে হয়তো দুঃখ বেদনা আছে। সেটা হতে পারে দলগত, ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক। আমি বলব এসব থেকে আপনারা বেরিয়ে আসেন। কারণ দলটা অনেক বড়। দলের ভেতর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, সামাজিক দ্বন্দ্ব এসব আনা যাবে না। আমাদের দল ধানের শীষের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এতদিন আন্দোলনে যুদ্ধ করেছি। এখন আমাদের ভোটের যুদ্ধে কাজ করতে হবে। বিগত সরকারকে হটাতে আমরা জয়ী হয়েছি। তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে কথা বলতে পারছি। সামনে ভোটের যুদ্ধ আসছে। ইনশাআল্লাহ মানিকগঞ্জের মানুষ তিনটি আসনেই ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়ী করে সংসদে পাঠাবে।
মনোনয়নের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, নমিনেশন কে পাবে সেটা বড় কথা নয়, মানুষের জন্য কাজ করাই হচ্ছে বড় কথা। আমার যদি মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকে; তাহলে আমি যে জায়গায় থাকি, সেখান থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। তাই আমাদের নমিনেশন যে-ই পাবে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের জন্য কাজ করবেন। মানিকগঞ্জের আহ্বায়ক হিসেবে এটা আপনাদের সবার প্রতি আমার নির্দেশ।
আফরোজা খান রিতা বলেন, এ বিদ্যালয়টি আমার বাবার হাতে গড়া। এখানে আমার বাবার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আপনার আমাকে এ বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়েছেন। তাই দেখভালের ভালো-মন্দ দায়ভারটা আমার ওপরে আসে। তাই আমি বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন ভালোমতো লেখাপড়া করে ভালো ফল পায়। এজন্য শিক্ষকদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
পরে তিনি বিদ্যালয়ের বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও জেলা, উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন