

যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ঘটেছে এক ভিন্নরকম চিত্র। শুনানিতে বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের নামে পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষ না দেওয়ায় দোকানের ডিসিআর রসিদ ফেরত নিয়ে গেছেন।
অভিযোগের জবাবে যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন দাবি করে জানান, তিনি ঘুষ খাননি। আনোয়ারুল ইসলাম ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাই দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। আর আনোয়ারুল ইসলাম তাকে পাকা কলা দিয়েছেন। তিনি কলা খেয়েছেন।
এ সময় মিলনায়তনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। দোকান বরাদ্দের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজীর উপস্থিতিতে গণশুনানিতে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
মন্তব্য করুন