

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
চকরিয়া উপজেলায় মোট ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত আছে আর ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৬৭ সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৯৫২ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছে।
উপজেলার অন্তত ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে সহকারী শিক্ষকদের দ্বৈত দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেয়ে হচ্ছে। এতে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
এ বিষয়ে চকরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর কালবেলাকে বলেন, চকরিয়া উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। তাই এই উপজেলায় ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, তার মধ্যে ৬৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আছে আর ৮০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকা ২৪টি বিদ্যালয়ের ২৪ জনকে শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চকরিয়া উপজেলা বড় হওয়াতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সে জন্য প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকার কারণ হচ্ছে যে পরিমাণ প্রধান শিক্ষক অবসর বা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে সে পরিমাণ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক খালি রয়েছে তা তালিকা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি। উক্ত খালি পদগুলো দ্রুত সময়ে নিয়োগের ব্যবস্থা হবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের খালি পদগুলো দ্রুত সময়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন