চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চকরিয়ার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

চকরিয়ায় উপজেলা শিক্ষা ভবন। ছবি : সংগৃহীত
চকরিয়ায় উপজেলা শিক্ষা ভবন। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

চকরিয়া উপজেলায় মোট ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত আছে আর ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৬৭ সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৯৫২ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছে।

উপজেলার অন্তত ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে সহকারী শিক্ষকদের দ্বৈত দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেয়ে হচ্ছে। এতে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

এ বিষয়ে চকরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর কালবেলাকে বলেন, চকরিয়া উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। তাই এই উপজেলায় ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, তার মধ্যে ৬৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আছে আর ৮০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকা ২৪টি বিদ্যালয়ের ২৪ জনকে শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চকরিয়া উপজেলা বড় হওয়াতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সে জন্য প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকার কারণ হচ্ছে যে পরিমাণ প্রধান শিক্ষক অবসর বা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে সে পরিমাণ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক খালি রয়েছে তা তালিকা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি। উক্ত খালি পদগুলো দ্রুত সময়ে নিয়োগের ব্যবস্থা হবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের খালি পদগুলো দ্রুত সময়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট প্রয়োজন : শিবির সভাপতি

গাজায় আবারও ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

র‌্যাব পরিচয়ে ইসলামী ব্যাংকের টাকা লুট

পুলিশ একাডেমি থেকে পালিয়েছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে

দেশে এক দিন পর কমলো স্বর্ণের দাম

বাবা হারালেন মোহাম্মদ এ আরাফাত

জুলাই সনদ : ফের ঐকমত্য কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি

শুরু হচ্ছে নতুন কুঁড়ির ফাইনাল রাউন্ড

পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প

১০

ঐক্যবদ্ধ থাকুন, কেউ উচ্চ আকাঙ্ক্ষা করবেন না : দুদু

১১

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন

১২

নিখোঁজের ৭ দিন পর আদিবার হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার 

১৩

‘খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন না আনলে ক্যানসার ঠেকানো কঠিন’

১৪

মালদ্বীপে জুমার খুতবা বাংলায় অনুবাদের উদ্যোগ

১৫

শ্রেষ্ঠত্বের অগ্রযাত্রা, ডিবিএল সিরামিকসের সেরা ডিলারদের অনুপ্রেরণার গল্প

১৬

পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্বে যার পাশে থাকছে ভারত

১৭

আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবে জাগপা ও আপ বাংলাদেশ

১৮

গেজেট থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জুলাই যোদ্ধার

১৯

ঐকমত্যে ব‍্যর্থ হলে ভয়ানক পরিস্থিতির ঝুঁকি দেখছে এবি পার্টি

২০
X