

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে দেড় বছরের শিশু খাদিজা আক্তার নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তিন দিন পার হলেও সোমবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ খাদিজা হাজীডাঙ্গী গ্রামের জেলে শাকিল শিকদার ও রুমা আক্তারের একমাত্র মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় খাদিজার মা রুমা আক্তার রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, আর বাবা শাকিল শিকদার কাজ শেষে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় শিশুটি একা উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয়ে যায়।
খাদিজার দাদা ছলেমান শিকদার বলেন, আমি বাজার থেকে ফিরে দেখি নাতনি নেই। এলাকাবাসীকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা নদীতে খোঁজ শুরু করি। রাতভর ট্রলার নিয়ে পদ্মা সেতু পর্যন্ত খুঁজেছি, কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি।
ঘটনার পর থেকেই চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস ও ফরিদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার গোলাম মর্তুজা ফকির বলেন, প্রথম দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছি। পরদিন সকাল থেকে আবার ডুবুরি দল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছি, কিন্তু এখনো কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আজও অভিযান চলছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। ট্রলারযোগে নদীর বিভিন্ন অংশে দেখা হচ্ছে, কোথাও লাশ ভেসে উঠেছে কি না।
চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে নিখোঁজ শিশুটির বাবা শাকিল শিকদার চরভদ্রাসন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি মানবপাচারের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তিন দিন ধরে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী খুঁজেও কোনো সন্ধান না মেলায় ধারণা করছি, মানবপাচারকারীরা কৌশলে মেয়েকে নিয়ে গেছে।
চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খান বলেন, শাকিল শিকদার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন