

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোর রোগী সেবায় নানান ভোগান্তি, দালালের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে দোয়া মাহফিল ও জিলাপি বিতরণের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালের সামনে এমন অভিনব আয়োজন হয়।
এতে হাসপাতালের অনিয়ম ও দৈন্যদশা নিয়ে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লব্ধর প্রতিষ্ঠাতা মো. ফারাজ রানা, সিসিএস কো-অর্ডিনেটর আবুল হাসান সোহেল, ব্লাড ফর বাংলাদেশের ফিরোজ মাহমুদ, বন্ধু ব্লাড ডোনেট ক্লাবের ইসমাইল হোসেন রাসেল, ভবানীগঞ্জ ব্লাড ডোনেট ক্লাবের রাসেল মাহামুদ, স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল মালেক নিরব প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, হাসপাতালের পরিবেশ দেখলে মনে হয় এটি একটি গরু রাখার ঘর। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেই। দালাল অপসারণ করার যথাযথ উদ্যোগ নেই। নির্মাণাধীন ২০০ শয্যার হাসপাতাল ভবন রাতের বেলা মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া হাসপাতালের সার্জারি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, স্কিন বিভাগসহ পাঁচটি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক ও অন্যান্য পদসহ ৫৯টি পদশূন্য রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি বেশিরভাগই নষ্ট। এগুলো মেরামত কিংবা ক্রয় করার উদ্যোগ নেই।
এ সময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে হাসপাতালের বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণ করে নতুন ২০০ শয্যার হাসপাতাল ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভোগান্তি পরিহার করে সঠিক সেবাদান ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আবুল হাসান শাহিন কালবেলাকে বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব।
একইভাবে কোনো কথা না বলে মিটিংয়ের অজুহাত দিয়ে মোবাইল ফোনের কল কেটে দেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. অরূপ পাল।
মন্তব্য করুন