

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাগানের ঘাস খাওয়ায় হাঁসুয়া দিয়ে গরুর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া নামের এক বাগান মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গরুর মালিক মোছা. ফারজানা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) উপজেলার কয়ানিজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. ফারজানার পালিত একটি গাভি ও বাছুর গত ২২ অক্টোবর সকালে খেজুরবাগ মাঠে বাধা ছিল। এ সময় কয়েকটি কুকুর মাঠে গেলে গাভি ও বাছুরটি ভয়ে খুঁটি উপড়ে পাশের কয়ানিজপাড়ার মো. জাকারিয়ার (৪০) খোলা বাগানে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাগান মালিক জাকারিয়া গাভি ও বাছুরকে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে ফারজানা তার গাভি আনতে গেলে অভিযুক্ত জাকারিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মারমুখী আচরণ করেন। ভয়ে ফারজানা বাড়ি ফিরে এসে সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতি মো. আব্দুল মজিদকে নিয়ে পুনরায় গাভি আনতে যান। এ সময় জাকারিয়া উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে গাভিটির পেছনের বাম পায়ে কোপ মারেন। এতে গাভিটির পায়ের রগ কেটে মারাত্মক জখম হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় গাভিটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আব্দুল করিমের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোছা. ফারজানা বলেন, সামান্য ভুলের কারণে আমার অবলা প্রাণীটিকে এভাবে কোপানো হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার অবস্থা ভালো নয়। তার একটা বাছুর আছে সেও দুধ খেতে পারছে না। গাভির চিকিৎসা হচ্ছে তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে গাভিটি বাঁচবে। আমি এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় বিচার চাই।
বাগান মালিক জাকারিয়া বলেন, ঘটনাটি ভুলবশত রাগের মাথায় ঘটেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন