

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের ওপর নির্মিত ৫৭ লাখ টাকার সেতুটি ৯ বছরেও কোনো কাজে আসছে না। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি দিয়ে পারাপার হতে পারছেন না স্থানীয়রা। প্রায় এক দশক ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকা সেতুটি এলাকার মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের আশা— অতি দ্রুত সড়ক নির্মাণ করে সেতুটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে লাগানো হবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর ও বকশিপুর গ্রামের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কুমার নদে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুনে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। তবে সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত হিসেবেই পড়ে আছে।
স্থানীয়রা বলেন, সেতুর দুই পাশে রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা এখনো ৫-১০ কিলোমিটার ঘুরে আলমডাঙ্গা শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ সেতুটি চালু হলে ১০টি গ্রামের মানুষ কয়েক মিনিটেই যাতায়াত করতে পারতেন। আশপাশের বৃদ্ধাশ্রম, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। ফসল মাঠ থেকে আনতে কষ্ট হয়, খরচও বাড়ে।
আসাননগর গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক থাকলে দুই পাশের মানুষের যাতায়াত সহজ হতো। এখন সেতুটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মনে হচ্ছে ৫৭ লাখ টাকা খরচ করে গোবর শুকানোর জায়গা বানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মৌদুদ আলম খাঁ বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। দ্রুত সেতুটিকে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন