ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১০ শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ ১৯

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের পরিবারের খোজঁ-খবর নেন ইউএনও কেএম মামুনুর রশিদ। ছবি : কালবেলা
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের পরিবারের খোজঁ-খবর নেন ইউএনও কেএম মামুনুর রশিদ। ছবি : কালবেলা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চাচা-ভাতিজা এবং ১০ শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ হয়েছেন ১৯ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে আহতদের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লুন্দিয়া চরপাড়া মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

আহতরা হলেন— জয়ধর মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৪০), বাতেন মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১০), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে ওয়াসিবুল (১০), তৌহিদ মিয়ার ছেলে সামিউল (৯), মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল আমিন (৮), এরশাদ মিয়ার ছেলে শুভ (৮), উজ্জল মিয়ার ছেলে নিরব (১৫), জিয়া রহমানের ছেলে রাহাত(১২), মনসুর মিয়ার ছেলে ফাহিম (১০), রতন মিয়ার ছেলে আমিন (১০), জব্বার মিয়ার ছেলে হেকিম মিয়া (৫৫), আসাদুল্লাহর ছেলে সেরাজুল (১০), খালেক মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), আ. মালেকের ছেলে মোর্শিদ মিয়া (৫৫) ও মৃত মোমতাজ মেম্বারের ছেলে নাছির মিয়া (৪০)।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীনরা হলেন— শিশু শিক্ষার্থী ছামিউল, রাহাত, নিরব এবং বাক্‌প্রতিবন্ধী আ. হেকিম (৫৫) ও হারুন মিয়া।

তা ছাড়া আহতদের মধ্যে টুকচানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসার ১০ খুদে শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ২ জন ব্রাক্ষণবাড়িয়া বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আগানগর ইউনিয়নের চরপাড়া টুক চানপুর বাজারে নাসির মিয়া সকালের নাস্তা বিক্রি করে দোকান তালা লাগিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে হারুন মিয়া তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছে।

পরে তিনি সিলিন্ডারের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ১০ শিক্ষার্থীসহ ১৯ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ফারুক মিয়া, নবী হোসেনসহ এলাকাবাসীরা বলেন, ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। সরকার যেন আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

১০

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

১১

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১২

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১৩

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১৪

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৫

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৬

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৭

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৮

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৯

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০
X