শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজারে দোকানে দোকানে ঘুরছে হাতি। শুঁড় তুলে সালাম জানাচ্ছে দোকানি, পথচারী ও পাশ দিয়ে অতিক্রম করা দ্রুতযানের চালককেও। হাতি আবারও কখনও করছে পথরোধ। দোকান ভেদে আদায় করছে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সরছে না হাতিটি। এমনকি টাকা না দিলে হুঙ্কার দেয় হাতি, যা স্থানীয়দের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করে। এভাবেই দিনভর চাঁদাবাজি করছেন হাতির পিঠে চড়ে থাকা রাকিব নামের ওই মাহুত। এমন অভিযোগ করেছেন শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ডামুড্যা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এক হাতি দিয়ে দোকানে দোকানে টাকা উত্তোলন করছে হাতিটি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শুধু দোকানই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। এ অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির হাত থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডামুড্যা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলম বেপারি বলেন, কয়েক দিন পর পর হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মো. শাহাদাৎ নামের এক অটোরিকশাচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
হাতির পিঠে বসা মাহুতের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম রাকিব। কোথা থেকে এসেছেন জানতে চাইলে তা বলতে অস্বীকার করেন।
হাতি নিয়ে এভাবে টাকা নিচ্ছেন কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াব কী।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবিতা সরকার বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এরপর যদি আবারও কোনোদিন আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন